ড. নিম হাকিমের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত
ড. এম. এ. হাকিম, ড. নিম হাকিম হিসেবে সমাজে পরিচিত। তিনি রাজবাড়ী জেলায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। স্কুল জীবনে প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং পরবর্তীতে পারমাকালচার গ্রাজুয়েট, ইকো-ভিলেজ ডিজাইন ও ইকোলজিক্যাল টাউন প্লানিং এর উপর অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেন। ক্লেটন কলেজ অব ন্যাচারাল হেলথ, আলবামা, আমেরিকায় হারবালিস্ট পড়াশুনা এবং ওয়াশিংটন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রের একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক। তিনি একজন গবেষক, কবি ও লেখক। ইতিমধ্যেই তার একটি কাব্যগ্রন্থ ও একটি কবিতা গ্রন্থ সহ ৯টি পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আরো ৫টি। তিনি দেশের একমাত্র পারমাকালচারারিস্ট ও হারবালিস্ট এবং শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবিদ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়কারী ছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশনে পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন’ গবেষণা, পরিকল্পনা, প্রস্থনা ও উপস্থাপনা করেছেন দীর্ঘ ছয় বছর। এ পর্যন্ত দেশে বিদেশে ২৫টি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক কোর্স সফলতার সাথে সমাপ্ত করেছেন। ৩০ টি আন্তর্জাতিক ও ৬৫ টি জাতীয় কনফারেন্সে যোগদানসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ ভ্রমণ করেছেন। তাঁর ৮ টি গবেষণা কর্ম রয়েছে। নিম বিষয়ে নতুন শিল্প উদ্ভাবন ও উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি ২০০১ সালে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ভোকেশনাল অ্যাওয়ার্ড ও ২০০৩ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন স্বর্ণ পদক লাভ করেন।ভারতের মহাত্মাগান্ধী কাঁশি বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল নিম অর্গানাইজেশন কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক নিম সম্মেলনে তাঁকে “গ্লোবাল নিম রত্ন” অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। তিনিই বিশ্বে প্রথম এই খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।
এছাড়া রয়েছে তাঁর আরও অনেক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও নিউজ লেটারে তাঁর গবেষণা ও উন্নয়নমূলক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ নিম ফাউন্ডেশন ও সেভ দি আর্থ ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান, নিম অর্গানিক লিঃ ও পারমাথেরাপি হিলিং সেন্টার লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার সেন্টার ফর ইন্ট্রিগ্রেটেড হারবাল রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ন্যাচারাল প্রোডাক্টস এ্যাসোসিয়েশন অব দি ওয়ার্ল্ড এর চেয়ারম্যান। তিনি ওয়ার্ল্ড নিম অর্গানাইজেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক। নিম থেকে তিনিই দেশে প্রথম প্রসাধনী, ফাংশনাল ফুড বা বিশেষ কার্যকরী খাদ্য সামগ্রী, জৈব সার, ঔষধ ও কীটনাশক উদ্ভাবন করেন। উল্লেখ্য, তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে নিউইয়র্কস্থ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে ঘন্টাব্যাপী আলোচনা করেন। ‘নিরাপদ পরিবেশ একটি মানবাধিকর’ এই আন্দোলনের তিনিই প্রবক্তা।তিনিই দেশের একমাত্র ইকো-ভিলেজ ডিজাইনার এবং তাঁর সংগ্রহে রয়েছে দেশের দুষ্প্রাপ্য ও সর্বাধিক ঔষধি উদ্ভিদের জিন ব্যাংক। দারিদ্র বিমোচন ও পরিবেশ রক্ষায় ঔষধি উদ্ভিদ নিয়ে তিনি দীর্ঘ দিন গবেষণা করেছেন। লোকজ ঔষধি জ্ঞান নিয়েও তিনি কাজ করেছেন। তিনি প্রাচীন লোকজ নিরাময় জ্ঞান ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার সমন্বয়ে উদ্ভাবন করেছেন ‘পারমাথেরাপি’ নামক স্থায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি। পারমাথেরাপি নামক নতুন এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের তিনিই জনক। বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিকদের গবেষণা প্লাটফর্ম ‘রিসার্চ গেট’ এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি ঔষধি উদ্ভিদের ‘জীন ব্যাংক’ ও ‘বায়োব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে একই ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা করছেন ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ন্যাচারাল মেডিসিন’ যা বিশ্বে সর্বপ্রথম। দেশে প্রাপ্ত ঔষধি উদ্ভিদের ছবিসহ পূর্ণাঙ্গ ক্যাটালগ ও বাংলাদেশ হারবাল ফার্মাকোপিয়াও রচিত হচ্ছে এই গবেষকের হাতেই। তিনি রাজবাড়ী জেলার শান্তি মিশনে প্রতিষ্ঠিত ঔষধি উদ্ভিদের জীন ব্যাংক ও বায়োব্যাংকে চালু করেছেন- ‘প্রকৃতির পাঠশালা’ যেখানে শিক্ষার্থীরা ঔষধি গাছ এবং বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদ ও গ্রামীণ বনজঙ্গলের বন্যপ্রানী ও পাখী দেখতে ও তাদের নাম জানতে এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশে তাদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ধরিত্রী রক্ষা, দারিদ্র বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি বিশ্বব্যাপী গড়ে তুলেছেন আন্দোলন।তিনি একজন প্রকৃতি প্রেমিক, পরিবেশবিদ ও ভেষজ গবেষক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান।তিনি শান্তি মিশনেরও প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর উদ্ভাবিত, ‘ন্যাচারাল হেলথ ও পারমাথেরাপি’, আন্তর্জাতিক সমন্বিত ‘ভেষজ গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র’, ‘ড. নিম’ ও ‘দি অথেনটিক ন্যাচারাল নিম’ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মৌলিক মেধাস্বত্বের কপিরাইট পেয়েছে।